গাইবান্ধা জেলার উত্তরে কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলা, দক্ষিণে বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা, পূর্বে জামালপুর জেলা, তিস্তা ও যমুনা নদী এবং পশ্চিমে রংপুর, দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা অবস্থিত। গাইবান্ধার আয়তন: ২১৭৯.২৭ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০২´ থেকে ২৫°৩৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১১´ থেকে ৮৯°৪৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলা, দক্ষিণে বগুড়া জেলা, পূর্বে জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ, পশ্চিমে দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও রংপুর জেলা। গাইবান্ধার জনসংখ্যা ২১৩৮১৮১; পুরুষ ১০৮৫০৯৭, মহিলা ১০৫৩০৮৪। মুসলিম ১৯৭৭৭৭৮, হিন্দু ১৫৩৬১৪, বৌদ্ধ ২২০৯, খ্রিস্টান ৩০৪ এবং অন্যান্য ৪২৭৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওরাও প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:
গাইবান্ধা জেলা সাতটি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে-
- গাইবান্ধা সদর উপজেলা
- ফুলছড়ি উপজেলা
- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা
- পলাশবাড়ী উপজেলা
- সাদুল্লাপুর উপজেলা
- সাঘাটা উপজেলা এবং
- সুন্দরগঞ্জ উপজেলা
ইতিহাস:
কথিত আছে, আজ থেকে প্রায় ৫২০০ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় বিরাট রাজার রাজধানী ছিল। বিরাট রাজার প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার গাভী ছিল। সেই গাভী বা গাই বান্ধার স্থান হিসাবে গাইবান্ধা নামটি এসেছে বলে কিংবদন্তী রয়েছে।
১৯৮৪ ইং সালের ১৫ অগাস্ট বুধবার ২রা ফাল্গুন ১৩৯০ বাংলা ১২ ই জমাদিউল আউয়াল ১৪০৪ হিজরী সনে গাইবান্ধা জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা জেলা ১৮৫৮ সালের ২৭ আগস্ট বৃহত্তর রংপুর জেলার অধীনে ভবানীগঞ্জ নামে একটি মহকুমা গঠিত হয়। ১৮৭৫ সালে ভবানীগঞ্জ নদীগর্ভে বিলীন হলে মহকুমা সদর দপ্তর গাইবান্ধায় স্থানান্তরিত হয়। এ এলাকা এক সময় বাহরবন্দ পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯২৩ সালে গাইবান্ধা শহরটি মিউনিসিপ্যালিটিতে রূপান্তর হয়। ১৯৬০ সালে মিউনিসিপ্যালিটি বিলুপ্ত হয়ে গাইবান্ধা টাউন কমিটি গঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে শহর এলাকা গাইবান্ধা পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সর্ববৃহৎ (৪৮১.৬৬ বর্গ কিমি) এবং এটি জেলার মোট আয়তনের ২২.১০% এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা পলাশবাড়ী (১৯০.৬৭ বর্গ কিমি)।
চিত্তাকর্ষক স্থান:
- বালাসী ঘাট - বালাসী ঘাট প্রাকৃতিক দৃশ্য মন্ডিত একটি দর্শনীয় স্থান। যমুনা নদী এর পারে এই ঘাট অবস্থিত।
- ঘেগার বাজার মাজার
- গাইবান্ধা পৌর পার্ক
- ড্রীমল্যান্ড, পলাশবাড়ী সদর
- হযরত শাহ জামাল (রাঃ) মাজার শরীফ, জামালপুর, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা.
- জামালপুর শাহী মসজিদ, জামালপুর, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা.
- রাজবাড়ি (বিরাট রাজার প্রাসাদ), এছাড়াও বেশকিছু প্রাচীন মসজিদ আছে, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধ,
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব:
- খাঁন বাহাদুর আব্দুল মজিদ
- টিআইএম নুরুন্নবী চৌধুরী
- শাহ্ আব্দুল হামিদ (স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার। )
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (সাহিত্যিক)
- আবু হোসেন সরকার (পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশীক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন)
- বাবু শচীন চাকী (খেলাধুলা সংগঠক)
- মাহাবুব এলাহী রন্জু ,বীর প্রতীক (১৯৭১ সাল এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে গাইবান্ধা এলাকার গৌরব রঞ্জু কম্পানীর কমান্ডার)
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া
গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও ইতিহাস
Reviewed by Admin
on
May 15, 2018
Rating:

দেশ আমার মাটি আমার!
ReplyDelete